উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতির পরামর্শ - কখন কোন কাজটা করবেন
যারা ভবিষ্যতে মাস্টার্স বা পিএইচডিতে আসতে চান, তাদের জন্য একটা টাইমলাইন এখানে দিলাম। এগুলোকে বেস্ট প্রাকটিস হিসাবে দেখতে পারেন -- এরকম করতেই হবে তেমন কথা না, তবে এভাবে গুছিয়ে কাজ শুরু করলে পুরো প্রক্রিয়াটি অনেক সহজ হয়।
১) ইংরেজি লিখতে ও বলতে পারার দক্ষতা:
এটা বর্তমান যুগে একটা আবশ্যকীয় যোগ্যতা। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইংরেজির দক্ষতা বাড়ান। একেবারে শুরুর থেকেই। ইংরেজি খবরের কাগজ পড়া এবং ইংরেজি শো ডাবিং ছাড়া দেখার অভ্যাস করুন।
২) নানা ইউনিভার্সিটির সম্পর্কে খবর নেয়া:
এটা ২য় বা ৩য় বর্ষ থেকে শুরু করতে পারেন। নাকে মুখে করতে বলছি না, তবে মাঝে মধ্যে নানা ইউনিভার্সিটির সাইট ঘুরে আসতে পারেন। দিনে দুই দিনে ১টা মিনিট করে সময় দিলেই আস্তে আস্তে কিছুটা ধারণা বাড়বে।
ইংরেজি লিখতে ও বলতে পারার দক্ষতা: এটা বর্তমান যুগে একটা আবশ্যকীয় যোগ্যতা।
৩) গবেষণা ও পাবলিকেশনের কাজ:
এটা রাতারাতি হয় না, তাই স্নাতকের ৩য় বর্ষ থেকেই যদি সেটার দিকে একটু সময় দেন, পাশ করা নাগাদ কিছু না কিছু হাতে থাকবে (পেপার বা আন্ডার সাবমিশন পেপার)। তার উপরে নানা প্রফেসরকে ইমেইল লেখার সময়েও আপনার বা তার গবেষণা নিয়ে আলোচনা করতে সুবিধা হবে।
৪) নানা ইউনিভার্সিটির প্রফেসরের সাথে যোগাযোগ:
যোগাযোগের ব্যাপারটা (গবেষণার জন্য) স্নাতকের ৩য় বর্ষের মাঝামাঝি বা শেষ দিক থেকে শুরু করতে পারেন। অনেকদিন ধরে ইমেইলে নামটা দেখলে পরে যখন এপ্লাই করবেন, তখন নামটা প্রফেসরের মনে পড়তে পারে। তাছাড়া যদি রিসার্চের কাজ কিছু শুরু করতে পারেন কোন প্রফেসরের সাথে, সেটা অনেক বড় কাজে দিবে।
৫) টোফেল/জিআরই/আইএলটিএস:
এগুলোর পড়া ৩য় বর্ষের শেষ বা ৪র্থ বর্ষের প্রথম দিক থেকে শুরু করেন এবং পাশ করার আগেই দিয়ে দেন। পাশ করার পরে চাকুরি ও অন্যান্য কাজের চাপে এগুলোতে সময় দেয়া কঠিন।
৬) বিশ্ববিদ্যালয়ের শর্টলিস্ট বানাবার কাজ:
এই কাজগুলো ৪র্থ বর্ষ জুড়ে করুন, কাগজপত্রও কিছুটা এগিয়ে রাখুন। যাতে পাশ করা মাত্র (অথবা তার আগেই) ভর্তির আবেদন শুরু করতে পারেন।
তবে এগুলোর সাথে সাথে আরেকটা জিনিষ অবশ্যই খেয়াল রাখবেন -- রেজাল্ট ভাল রাখা। সেটা তো বলাই বাহুল্য।
যাহোক, এগুলোকে আমার ব্যক্তিগত পরামর্শ এবং বেস্ট প্রাকটিস হিসাবে ধরে নিতে পারেন। কাজে লাগলেও লাগতে পারে। শুভ কামনা রইলো। (এটি আমার আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা বই থেকে নেয়া একটি লেখা)। (পাদটীকা - অতীতে এই দিকনির্দেশনা দেয়ার পরে অনেকে একটু রেগে গিয়ে বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় বর্ষ থেকে কিছু করার দরকার নাই, সেটা চিল করার সময়। আগেই বলেছি, এটা আমার ব্যক্তিগত মতের একটি দিকনির্দেশনা মাত্র, যা অনুসরণ করে ক্যারিয়ারে সফল হতে পারবেন সহজে। এটাকে ধ্রূব সত্য হিসাবে না ধরে আমার পরামর্শ হিসাবে নিতে পারেন। যদি এটাতে দ্বিমত থাকে এবং ২য় ৩য় বর্ষে চিল করে কাটানোই ভালো মনে করেন, তাতে আমার কোনো অসুবিধা বা দ্বিমত নাই, কাজেই চিলপার্টিদের রেগে যাবারও কারণ নাই। যে যার মতো সুবিধা পান সেভাবেই জীবন গড়ার কাজ করেন।)